রক্তের গ্রুপ সর্ম্পকিত গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্যঃ


আমরা সকলেই রক্তদানের ব্যাপারে কম বেশি জানি। কিন্তু আমরা কি জানি,কোন গ্রুপের রক্তের বাহক কোন গ্রুপের রক্তের বাহককে রক্ত দিতে পারবে?
মূলত O- রক্তের বাহক ছাড়া,আর সব গ্রুপের রক্তের বাহকরা, একাধিক গ্রুপের রক্ত গ্রহন করতে পারেন।
কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার কারনে, প্রায়ই দেখা যায় যে, প্রয়োজনের সময় কেবল রোগীর রক্তের গ্রুপের রক্তই খোঁজা হয়। ফলে আমাদের ভোগান্তি বাড়ে, এবং অনেক সময় চাহিদা পূরনের তাগিদে বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত কিনে রোগীকে দেয়া হয়, যা আমাদের দেশে মোটেও নিরাপদ নয়।

কিন্তু আমরা যদি সকলেই জানতাম, কোন কোন গ্রুপের রক্ত কোন কোন গ্রুপের রক্ত বাহকের শরীরে দেয়া যাবে,তাহলে রক্তের জন্য আমাদের এত ভুগতে হতো না।

ছবিটি থেকে দেখে নিন, আপনি কোন কোন গ্রুপের রক্ত নিতে পারবেন, এবং কোন কোন গ্রুপের রক্তের বাহককে রক্ত দিতে পারবেন।

আর সকলের কাছে অনুরোধ, যেহেতু এই বিষয়টি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়, তাই দয়া করে এই বিষয়টি শেয়ার করুন, আপনার চারপাশের বন্ধুদের জানাতে কার্পণ্য করবেন না।

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান

 

http://adnan.quaium.com/blog/1237

এর  কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি

ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশান (তিনটি পার্টিশান করে)

Posted on July 8, 2010

 

এই টিউটোরিয়ালটা হচ্ছে তাদের জন্য যারা কম্পিউটারে উইন্ডোজকে পুরোপুরি মুছে ফেলে পার্টিশান করে কেবল মাত্র উবুন্টুকে কম্পিউটারে ইন্সটল করতে চান। এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী উবুন্টু ইন্সটল করলে আপনার পিসির হার্ডডিস্ক পুরোপুরি ফর্ম্যাট হয়ে গিয়ে কেবলমাত্র উবুন্টু থাকবে, এবং উইন্ডোজ সম্পূর্নরূপে মুছে যাবে। শুধু তাই-না আপনার কম্পিউটারে থাকা সমস্ত তথ্য এবং ফাইল (ছবি, গান, সিনেমা, ডকুমেন্টস, সফটওয়্যার ইত্যাদি সবকিছুই) পুরোপুরি মুছে যাবে। তাই এই  টিউটোরিয়াল অনুসরণ করার আগে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য কোন হার্ডডিস্ক বা রিমুভেবল-মিডিয়া বা অন্য কোন কম্পিউটারে অবশ্যই অবশ্যই ব্যাকআপ করে রাখুন।

 

  • পূর্বপ্রস্তুতিঃ

আপনার প্রয়োজনীয় সকল ড্যাটা অন্য কোন কম্পিউটারে ব্যাকআপ করে রাখুন। কারণ আপনার হার্ডডিস্ক ফরম্যাট করা হবে। ব্যাকআপ করা শেষ হলে পরে ইন্সটলেশানের পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  • পার্টিশান সম্পর্কে পূর্ব ধারণাঃ

ক। আপনার কম্পিউটারে আগের সব পার্টিশান মুছে ফেলে নতুন করে তিনটি পার্টিশন করা হবে। এক ভাগ হচ্ছে রুটের জন্য, পরের ভাগ সোয়াপের জন্য আর শেষেরটা হচ্ছে হোমের জন্য। অর্থাৎ ভাগটা হবে নীচের ছবির মতঃ

এখনকার বেশিরভাগ হার্ডডিস্কই ১০০ গিগাবাইটের উপরে। তাই এরকম কোনো সিস্টেমে মোটামুটি ১০ গিগাবাইট থেকে ১৫ গিগাবাইট জায়গা রুটের জন্য রেখে, ১ গিগাবাইট জায়গা সোয়াপ পার্টিশনের জন্য রেখে বাকী অংশটুকু হোম পার্টিশনে জন্য বরাদ্দ করা উচিৎ। সোয়াপ পার্টিশনটি ভার্চুয়াল মেমরি হিসেবে কাজ করে। কোনো কারণে আপনার র‍্যাম পুরোপুরি ব্যবহৃত হয়ে পড়লে তখন ভার্চুয়াল মেমরি কাজ শুরু করে। আর হোম পার্টিশনে কিন্তু জায়গা তুলনামূলকভাবে বেশি দরকার কারণ হোম পার্টিশনেই আপনার প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট, ফাইল ইত্যাদি থাকবে। হোম পার্টিশনকে আলাদা করার কারণ হচ্ছে পরবর্তীতে উবুন্টুর অন্য কোনো রিলিজ বা অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেম (যেমন লিনাক্স মিন্ট) কম্পিউটারে ইন্সটল করলে কেবল রুট পার্টিশনে ওভার রাইট হবে, হোম পার্টিশনে থাকা আপনার ডকুমেন্টে একটা আঁচড়ও পড়বে না।

খ। অনেকেই উইন্ডোজের ড্রাইভের নামের সাথে উবুন্টুর ড্রাইভগুলোর নামকে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। উইন্ডোজে যেখানে C, D, E ইত্যাদি বর্ণ ব্যবহার করা হয় সেখানে উবুন্টুতে (তথা লিনাক্সে) ব্যবহার করা হয় sda1, sda5 ইত্যাদি। এ ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করা দরকার। উবুন্টুতে যদি আপনি একটি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করেন তাহলে সেটার নাম দেখাবে sda, যদি দ্বিতীয় আরেকটি হার্ডডিস্ক সংযুক্ত করেন তবে সেটার নাম দেখাবে sdb এবং এভাবেই বাকীগুলোর নাম হবে sdc, sdd ইত্যাদি। ধরলাম আপনার কম্পিউটারে একটাই হার্ডডিস্ক রয়েছে (বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে একটি হার্ডডিস্কই থাকে)। তাহলে এই নিয়মানুসারে আপনার হার্ডডিস্কটির নাম হবে sda। এখন যদি হার্ডডিস্কটিকে দুটি পার্টিশান করা হয় তবে এর ভাগগুলো হবে sda1 ও sda5। যদি তিনটি পার্টিশন করেন তবে এর ভাগগুলো হবে যথাক্রমে sda1, sda5, sda6। যদি চারটি পার্টিশন করেন তবে এর ভাগগুলো হবে যথাক্রমে sda1, sda5, sda6, sda7। এভাবে বাকীগুলোর নামকরণ চলতে থাকে।

গ। সোজা কথায় উইন্ডোজে যেটা C ড্রাইভ উবুন্টুর সেটা sda1, উইন্ডোজে যেটা D ড্রাইভ উবুন্টুর সেটা sda5, উইন্ডোজে যেটা E ড্রাইভ উবুন্টুর সেটা sda6। ব্যাপারটা ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের টেবিলটাতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন।

উইন্ডোজের ড্রাইভ উবুন্টুর ড্রাইভ
C drive sda1
D drive sda5 লক্ষ্য করুনঃ sda1 এর পর sda5 হচ্ছে
E drive sda6
F drive sda7
G drive sda8
H drive sda9 এভাবে বাকী ড্রাইভগুলোর নামকরণ চলতে থাকবে
  • উবুন্টু ইন্সটলেশানঃ

১।  উবুন্টুর সিডি বা ইউএসবি স্টিক কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটার বুট করুন। কম্পিউটারে উবুন্টু বুট হলে পরে নীচের মত স্ক্রিন পাবেন। যদি লাইভ সিডি চালিয়ে দেখতে চান তাহলে “Try Ubuntu” বাটনে ক্লিক করুন। যেহেতু আমরা ইন্সটল করতে চাইছি তাই “Install Ubuntu” বাটনে ক্লিক করব।

২। এবার ভৌগলিক অবস্থান ও সময় নির্বাচন করুন। Forward বাটনে ক্লিক করুন।

৩। কিবোর্ড নির্বাচন করুন। বাই ডিফল্ট USA দেয়া থাকে, সাধারণত বাংলাদেশে আমরা এটাই ব্যবহার করি। তাই এটাই নির্বাচন করুন। Forward বাটনে ক্লিক করুন।

৪। এবার হার্ডডিস্ক দেখিয়ে দেবার পালা। যে উইন্ডোটি এখন দেখছেন সেখানে খেয়াল করলে দেখবেন যে উপরের দিকে আপনার হার্ডডিস্কের বর্তমান অবস্থা অর্থাৎ কয়টি পার্টিশান আছে, কোন পার্টিশানে উইন্ডোজ আছে ইত্যাদি তথ্য দেখাচ্ছে। খেয়াল করে দেখুন নীচের ছবিতে হার্ডডিস্কে sda1 তে উইন্ডোজ দেখাচ্ছে (অর্থাৎ C: ড্রাইভে উইন্ডোজ রয়েছে)। এবার “Specify partitions manually (advanced)” অপশনটি নির্বাচন করুন। এতে করে পরবর্তী ধাপে হার্ডডিস্ককে পার্টিশন করার অপশন পাবেন। Forward এ ক্লিক করুন।

৫। এবার পার্টিশন করার পালা। এই ধাপটা ইম্পর্ট্যান্ট। তাই খুব খেয়াল করে কাজ করুন। এধাপে প্রথমেই আপনার কম্পিউটারের বর্তমানের সব পার্টিশন একটা টেবিল হিসেবে নীচের ছবির মত করে দেখাবে। খেয়াল করুন নীচের ছবিতে টেবিলে দেখানো আছে যে কম্পিউটারে কেবল sda নামে একটা হার্ডডিস্কই আছে (/dev/sda কেবল দেখাচ্ছে কোন /dev/sdb ডিভাইস দেখাচ্ছে না)। sda এর নীচে তিনটি পার্টিশন sda1, sda5, sda6 রয়েছে, যেগুলো ntfs ফর্ম্যাটের।

৫.১। প্রথমেই আগের সব পার্টিশন মুছে ফেলুন। দুইভাবে এ কাজটা করা যায়ঃ

৫.১.১। প্রথম পদ্ধতিতে, পার্টিশন টেবিল থেকে /dev/sda কে সিলেক্ট করে নীচের “New Partition Table” বাটনে ক্লিক করলেই সব পার্টিশন মুছে যাবে।

৫.১.২। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে, একটা একটা পার্টিশন সিলেক্ট করে করে মুছতে হবে। এজন্য যেকোন একটা পার্টিশন সিলেক্ট করুন (এখানে sda6 কে সিলেক্ট করা হল), তারপর টেবিলে নীচের ডিলিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার দেখবেন নীচের ছবির মত sda6 এর জায়গায় “free space” কথাটা দেখাচ্ছে।

এভাবে একে একে বাকী সবগুলো পার্টিশন মুছে ফেলুন। এভাবে পার্টিশান মোছার সুবিধা হচ্ছে যে এতে করে আপনি যদি কোনো পার্টিশান মুছতে না চান, তবে সেটাকে সেভাবে রেখে দিতে পারেন। ধরুন আপনি উইন্ডোজের C ড্রাইভটিকে মুছতে চাননা, আপনি চান উইন্ডোজ ও উবুন্টু ডুয়েলবুট করতে, তাহলে sda1 ছাড়া অন্য পার্টিশানগুলো মুছে ফেলুন। কিংবা কেবল sda6 পারটিশানেই উবুন্টু ইন্সটল করবেন অন্যগুলো ফর্ম্যাট করতে চাননা, তাহলে কেবল sda6 কে ডিলিট করে বাকীগুলো যেভাবে আছে সেভাবে রেখে দিন।

তবে কাজের সুবিধার জন্য ধরে নিচ্ছি আপনি সমস্ত পার্টিশানই মুছে ফেলতে চান। উপরের নিয়মে সব পার্টিশান মোছা হয়ে গেলে নীচের ছবির মত পার্টিশন টেবিলে কেবল “free space” দেখতে পাবেন।

৫.২। এবার আমরা নতুন পার্টিশন তৈরি করব। আগেই বলেছি যে তিনটা পার্টিশন তৈরি করব। একটি রুট, একটি সোয়াপ এবং একটি হোম পার্টিশন।

৫.২.১। রুট পার্টিশান তৈরিঃ টেবিল থেকে “free space” সিলেক্ট করে Add বাটনে ক্লিক করুন। নিচের মত উইন্ডো পাবেন।

– New partition size in megabytes অংশে লিখুন 10000। (এখানে ১০গিগা জায়গা রুটের জন্য বরাদ্দ করা হল, ইচ্ছা করলে আপনি আরো জায়গা দিতে পারেন, তবে সাধারণ কাজের জন্য ১৫ গিগা’র বেশি জায়গা দরকার হয়না।)
– Use As অংশে Ext4 সিলেক্ট করুন। (এটা হচ্ছে ফাইল ফরম্যাট। উইন্ডোজে যেমন ntfs সেরকম লিনাক্সে Ext4। তবে ইচ্ছা করলে অন্য যেকোনটি ব্যবহার করা যাবে। Ext4 লেটেস্ট বলে এখানে এটাতেই দেখানো হল।)
– Format the partition অংশে টিক দিন। (এতে করে আপনার পার্টিশন ফর্ম্যাট হবে।)
– Mount Point অংশে ” / ” সিলেক্ট করুন। (এর মানে হচ্ছে আপনি এই পার্টিশনটিকে রুটের জন্য নির্ধারণ করে দিচ্ছেন।)
– OK ক্লিক করুন।

৫.২.২। সোয়াপ পার্টিশান তৈরিঃ


– Free Space এ ক্লিক করুন।
– Add বাটনে ক্লিক করুন।
– New partition size in megabytes অংশে লিখুন 1000। (১গিগা)
– Use As অংশে swap area সিলেক্ট করুন।
– OK ক্লিক করুন।

৫.২.৩। হোম পার্টিশান তৈরিঃ

– Free Space এ ক্লিক করুন।
– Add বাটনে ক্লিক করুন।
– New partition size in megabytes অংশে যা বাকী থাকে সেটাই রেখে দিন।
– Use As অংশে Ext4 সিলেক্ট করুন।
– Format the partition অংশে টিক দিন।
– Mount Point অংশে ” /home ” সিলেক্ট করুন।
– OK ক্লিক করুন।

৫.৩। সবকিছু ঠিকমত মত হয়ে গেলে নীচের ছবির মত টেবিল পাবেন যেখানে / (রুট), swap (সোয়াপ), /home (হোম) – তিনটি পার্টিশনই দেখাচ্ছেঃ

পার্টিশন ব্যবস্থা আপনার মনমতো না হলে Back এ ক্লিক করে আবার নতুন করে পার্টিশন শুরু করতে পারেন। আর মনমতো হলে Forward এ ক্লিক করুন।

৬। এবার আপনাকে কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনি যে ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড নিয়ে লগিন করতে চান সেগুলো এখানে দেবেন। একদম নীচে দেখবেন যে লগিন করার তিনটি পদ্ধতি দেয়া আছে। প্রথমটিতে কোন পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগিন করার জন্য, যেটা কিনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় অপশনটিতে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার অপশন যা কিনা প্রথমটির চেয়ে সুরক্ষিত। আর তৃতীয় পদ্ধতিটি হল আপনার হোম ডিরেক্টরি (যেখানে আপনার সব ডাটা, তথ্য, ফাইল-টাইল ইত্যাদি থাকবে) এনক্রিপ্টেড থাকবে। এতে করে যদি আপনার হার্ডডিস্ক চুরিও হয়ে যায় আর চোর যদি পুরোনো উবুন্টু মুছে ফেলে নতুনভাবে উবুন্টু ইন্সটল করে তারপরও আপনার পাসওয়ার্ড না জানলে সে আপনার হার্ডডিস্কে ঢুকতে পারবেনা। তৃতীয় পদ্ধতিটিই সবচেয়ে কার্যকরী। নির্বাচন করা শেষ হয়ে গেলে Forward এ ক্লিক করুন।

৭। শেষবারের মত আপনার ইন্সটলেশানের বিভিন্ন তথ্যগুলো প্রদর্শন করবে।

৮। এবার Install বাটনে ক্লিক করলেই উবুন্টু ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে একের পর এক উবুন্টুর পরিচিতিমূলক স্ক্রিনশট দেখতে পাবেন।

৯। ইন্সটলেশান শেষ হয়ে গেলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে বলবে। Restart Now তে ক্লিক করুন।

১০। সিডি বের করে নিতে বলবে। সিডি বের করে নিয়ে Enter চাপুন।

১১। কম্পিউটার রিস্টার্ট হলে আপনার পিসি উবুন্টুতে চালু হবে।

ব্যস আপনার উবুন্টু ইন্সটল করা শেষ। উপভোগ করতে থাকুন উবুন্টুর অনিন্দ্যসুন্দর দুনিয়া।

Posted in Uncategorized | 2 টি মন্তব্য

বাংলাদেশের কি হবে ????

বাংলাদেশের ভৌগোলিক বেঁচে থাকা নিয়ে বিজ্ঞানীরা যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তা এক কথায় আঁতকে উঠার মতো। জাতিসংঘের মতে, শিল্পোন্নত দেশের কারখানা থেকে উৎপাদিত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাস বায়ুমন্ডলে মারাত্নক প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এতে বাড়ছে হিংস্র ঘূর্ণিঝড়, উচু হচ্ছে সমুদ্রের পানির স্তর। এ পানির স্তর যদি উঁচু হতেই থাকে, দূর্ভাগা বাংলাদেশই হবে প্রথম শিকার। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, 2050 সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্ধেক তলিয়ে যাবে সমুদ্রে। আর 2100 সালের মধ্যে হয়তো ডুবে যাবে সমগ্র বাংলাদেশ, কোটি কোটি মানুষ প্রাণ হারাবে উদ্বাসত্ত হবে বাংলাদেশীরা। বিজ্ঞানীদের এসব সাবধানবাণী ও আশঙ্কা থেকে আঁচ করা যায়, কত বড় সংকটের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এ নিয়ে একটুও আগ্রহ নেই সারা দেশে, কোথাও একটুকু হাহাকার নেই। বরং খবরটা চেপে রাখার চেস্টা চারদিকে। বাইশ শতকে বাংলাদেশ নামের কোন দেশ থাকবে না, বাঙালি হয়ে উঠবে ইহুদিদের মত উদ্বাস্ত। দেশ থেকে দেশে দেশান্তরী হবে তারা এ রকম একটি ভয়াবহ চিত্র বিজ্ঞানীরা তুলে ধরার পরও বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য যেন কেউ নেই।সাংবাদপত্রগুলো ঠিক সে রকম সরব নয়্ সরকারেরও এ বিষয়ে বিশেষ ভাবনা আছে বলে মনে হয়না। জনগণও ব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনযাপন নিয়ে অথচ কত বড় মহাপ্রলয় আর অনিশ্চয়তা যে বাংলাদেশের কপালে লেখা হযে গেছে, সে বিষয়ে কারো যেন কিছু করার নেই। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশের বিলপ্তির জন্য কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করার তার দরকার নেই এ রকম আশঙ্কা আর বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যতদ্বাণীর পরও বাংলাদেশের বিলুপ্তির আশঙ্কাকে বাংলাদেশ সরকারও যেন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে।

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

মানুয সাবধান !!!

মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ একথা বললেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে এবং তাদের পরীক্ষা করা হবেনা? আমি তো তাদের পূর্ববর্তী লোকদের ও পরীক্ষা করেছিলাম; অতএব আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন যারা সত্যবাদী এবং তিনি অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন মিথ্যাবাদীদেরকেও। আর যারা অসৎ কর্ম করে তারা কি মনে করে যে, তারা আমাকে এড়িয়ে যাবে? তাদের এরূপ সিদ্ধান্ত কত মন্দ! যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে, (সে জেনে রাখুক) আল্লাহ্‌র সেই নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই আসবে। তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন। আর যে ব্যক্তি সাধনা করে, সে তো নিজের জন্যই সাধনা করে। আল্লাহ তো বিশ্বজগৎ হতে অমুখাপেক্ষী।’

(সুরা ‘আন কাবুত;১-৫)

Posted in কোরান | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

শুভ জন্মদিন জানাইতে চান অন লাইন এ ?

শুভ জন্মদিন জানাইতে চান অন লাইন এ

এই কোড  গুলো তাকে দিন

http://s283.photobucket.com/albums/kk311/impimg/flash/bday/03.swf

http://i283.photobucket.com/albums/kk311/impimg/flash/bday/05.swf

http://s283.photobucket.com/albums/kk311/impimg/flash/bday/01.swf

http://s283.photobucket.com/albums/kk311/impimg/flash/bday/02.swf

http://s283.photobucket.com/albums/kk311/impimg/flash/bday/04.swf

 

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

ফেসবুক চেট এ এই কোড গুলা পেস্ট করুন
copy n paste this code on chat window. and see 😀

[[316675948369911]] [[316675981703241]] [[316675998369906]] [[316676018369904]] [[316676041703235]] [[316676061703233]]
[[316676138369892]] [[316676171703222]] [[316676188369887]] [[316676205036552]] [[316676235036549]] [[316676265036546]]
[[316676295036543]] [[316676321703207]] [[316676331703206]] [[316676351703204]] [[316676415036531]] [[316676451703194]]
[[316676491703190]] [[316676521703187]] [[316676545036518]] [[316676588369847]] [[316676608369845]] [[316676628369843]]
[[316676658369840]] [[316676678369838]] [[316676688369837]] [[316676715036501]] [[316676735036499]] [[316676758369830]]

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

কোরানের বানী

“নিজেকে তুমি রাখবে তাদেরই সংসর্গে যারা সকাল ও সন্ধ্যায় আহ্বান করে তাদের প্রতিপালককে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না; যার চিত্তকে আমি আমার স্মরনে অমনোযোগী করে দিয়েছি, সে তার খেয়াল খুশির অনুসরণ করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে তুমি তার আনুগত্য করো না।”
[সূরা কাহফঃ ২৮]
Posted in কোরান | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

জলপাইয়ের রয়েছে যথেষ্ট ঔষধি গুণ

জলপাই শীতকালীন ফল। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই ফলটি পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সবুজ জলপাই সহজলভ্য। পৃথিবীর অনেক দেশে কালো জলপাই জন্মে। জলপাইয়ের পাতা ও ফল দুটোই ভীষণ উপকারী। জলপাইয়ের রস থেকে যে তেল তৈরি হয় তার রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ।
প্রচণ্ড পরিমাণে টক এই ফলে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই। এই ভিটামিনগুলো দেহের রোগজীবাণু ধ্বংস করে, উচ্চরক্তচাপ কমায়, রক্তে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে। ফলে হূৎপিণ্ড থেকে অধিক পরিশোধিত রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায়, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ত্বকের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সেদ্ধ জলপাইয়ের চেয়ে কাঁচা জলপাইয়ের পুষ্টিমূল্য অধিক। এই ফলের আয়রন রক্তের আরবিসির কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান। এই আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, কোলনের পাকস্থলীর ক্যানসার দূর করতে রাখে অগ্রণী ভূমিকা।
জলপাইয়ের পাতারও রয়েছে যথেষ্ট ঔষধি গুণ। এই পাতা ছেঁচে কাটা, ক্ষত হওয়া স্থানে লাগালে কাটা দ্রুত শুকায়। বাতের ব্যথা, ভাইরাসজনিত জ্বর, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, জন্ডিস, কাশি, সর্দিজ্বরে জলপাই পাতার গুঁড়া জরুরি পথ্য হিসেবে কাজ করে। মাথার উকুন তাড়াতে, ত্বকের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকজনিত সমস্যা দূর করার জন্য এই পাতার গুঁড়া ব্যবহূত হয়। জলপাইয়ের তেল ব্যবহারের প্রচলনও কারও অজানা নয়। জলপাইয়ের তেল (olive oil) কুসুম গরম করে চুলের গোড়াতে ম্যাসাজ করলে চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধি ভালো হয়, চুলের ঝরে যাওয়া তুলনামূলকভাবে কমে।

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

আমাদের কাজ সম্পরকে রাসুল (সাঃ) কি বলেছেন ?

আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন তিনি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন-
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এমন এক ব্যক্তির ব্যপারে ফয়সালা হবে যে শহীদ হয়েছিল। তাকে আনা হবে এবং তাকে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তা পেশ করা হবে। সে তা চিনতে পারবে। আল্লাহ তা’য়ালা তাকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমি যে সমস্ত নিয়ামত তোমাকে দিয়েছিলাম, তার বিনিময়ে তুমি কি কাজ করেছ?’ সে বলবে, আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি। তিনি বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এজন্য লড়াই করেছ যে, লোকেরা তোমাকে বীর বাহাদুর বলবে! আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, সে ইলম অর্জন করেছে, তা লোকদের শিক্ষা দিয়েছে আর কুরআন পাঠ করেছে। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে দেওয়া সুযোগ সুবিধা গুলোও তার সামনে তুলে ধরা হবে। সে তা দেখে চিনতে পারবে। তুমি তোমার নিয়ামতের কি সদ্ব্যাবহার করেছ? সে বলবে আমি ইলম অর্জন করেছি, লোকদের তা শিক্ষা দিয়েছি এবং আপনার সন্তুষ্টির জন্য কুরআন পাঠ করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা কথা বলছ। বরং তুমি এই উদ্দেশ্যে বিদ্যা অর্জন করেছিলে যে, লোকেরা তোমাকে আলেম না বিদ্বান বলবে, এবং কুরআন এই জন্য পাঠ করেছিলে যে, তোমাকে ‘ক্বারী’ বলা হবে। আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে আনা হবে, তাকে আল্লাহ অজস্র ধন দৌলত দান করেছেন এবং নানা প্রকারের ধন সম্পদ দিয়েছেন। তাকে দেওয়া সুযোগ সুবিধা গুলোও তার সামনে তুলে ধরা হবে। সে তা দেখে চিনতে পারবে। আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, তোমার এ সম্পদ দ্বারা তুমি কি কাজ করেছ? সে বলবে, যেখানে ব্যায় করলে আপনি সন্তুশ্ত হবেন এমন কোন খাত আমি বাদ দেইনি বরং সেখানেই খরচ করেছি আপনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। মহান আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এই জন্য দান করেছ যে, লোকেরা তোমাকে দাতা বলবে। আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭১ ইফা)

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র

বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের অনেকের ই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। অনেকে এটাকে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে বলেন যেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।

আপনারা দেখবেন এটার নীচে লাল কালি দিয়ে লেখা ১৩ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি

কিন্তু এই ১৩ সংখ্যার মানে কি?

1. প্রথম ২ সংখ্যা – জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।

2. পরবর্তী ১ সংখ্যা – এটা আর এম ও (RMO) কোড।

সিটি কর্পোরেশনের জন্য – ৯
ক্যান্টনমেন্ট – ৫
পৌরসভা – ২
পল্লী এলাকা – ১
পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা – ৩
অন্যান্য – ৪
3. পরবর্তী ২ সংখ্যা – এটা উপজেলা বা থানা কোড

4. পরবর্তী ২ সংখ্যা – এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)

5. শেষ ৬ সংখ্যা – আই ডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর।

বর্তমানে আবার ১৭ ডিজিট ওয়ালা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল!

Posted in Uncategorized | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান